গ্যালারি

সমাজ-কল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর প্রতি হুঁশিয়ারী


যৌনপল্লী উচ্ছেদকারী আলেম ওলামাদের শিরচ্ছেদ করতে চাওয়া সমাজ-কল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর প্রতি হুঁশিয়ারী

যেই দেশের সমাজ-কল্যান মন্ত্রী বলে যে “যেই আলেম ওলামারা টাঙ্গাইলের যৌনপল্লী উচ্ছেদ করেছে তাদের সৌদি আরবেরর আঈনে শিরচ্ছেদ করা প্রয়োজন” সেই মন্ত্রীর দ্বারা দেশের সমেজের কি কল্যান হতে পারে তা খুব ভালো ভাবেই বোঝা যায়। (নিউজ লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে) 

বর্তমান সরকারের পা চাটা গোলাম যারা আছিস আমার এই বার্তা পৌছে দিস তোদের ঐ মদখোর বেশ্যার দালাল সৈয়দ মহসিনের কাছে ও যেই আঈনের কথা বলছে সেই আঈনে সবার আগে ওর মত মাতালের শিরচ্ছেদ করা প্রয়োজন। 

আমার বার্তা “ সৈয়দ মহসিন আল্লাহর কসম তোর পোষা কুত্তারা যারা তোকে পাহার দেয় যেদিন তোর আশেপাশে থাকবেন সেইদিনই তোর শরীর থেকে তোর গর্দান আলাদা করে দেওয়া হবে। আর প্রয়োজনে তোর পোষা কুত্তাদের সহ তোকে জাহান্নামে পাঠানো হবে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তোর মৃত্যূ যেন অত্যন্ত মর্মান্তিক হয় এবং আমার নিজের হাতে হয়। আর যে কয়দিন বেঁচে আছিস খুব যদি পতিতার সাথে রাত কাটানোর ইচ্ছা হয় তবে তোর ঘরের মেয়ে-মা-বোন আর অন্যান্য যারা নারী জাতির আছে তাদের দিয়ে টাঙ্গাইলে বেশ্যাপাড়া খুলে নিজের মনের খায়েস পুরোন করিস আর তাদের দিয়ে ব্যাবসা করাস। আল্লাহর কসম তোদের কাফেরদের বাহিনী যতই শক্তিশালী হোকনা কেন আমি তোদের মত নর পিশাচ দের ভয় করে চলিনা, আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট। আর একটা কথা খুব ভালোভাবে মনের মধ্যে গেথে নে – তোদের মত জালেম দুনিয়ালোভী আল্লাহর আঈন অমান্যকারীদের সময় খুব অল্পই বাকি আছে, তোদের জন্য ভয়াবহ পরিনতি অপেক্ষা করছে। আমাকে মেরে ফেললেও তোদের নির্মম মৃত্যূ থেকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা এক আল্লাহ ছাড়া, আর তোদের মত জালেম শাষক সমাজ কে আল্লাহ ছেড়ে দেবেননা, এটা আল্লাহর ওয়াদা যা তিনি পবিত্র কোরানে করেছেন ” 

আল্লাহু আকবর!আল্লাহু আকবর!আল্লাহু আকবর! Mohosin Ali

পাঠকদের জন্য কিছু হাদীস 

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন। “তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ দেখে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে, আর যদি সে এতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা মুখ দিয়ে প্রতিহত করে, যদি তাতেও সক্ষম না হয়,তাহলে যে এটাকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে, আর এটি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।” 
(সহীহ মুসলিম-১৮৬,সহীহ ইবনে হিব্বান-৩০৭, সুনানে আবু দাউদ-১১৪২, সুনানে ইবনে মাজাহ-৪০১৩, মুসনাদে আহমাদ-১১৪৬০, মুসনাদে তায়ালিসী-২১৯৬)

আমর বিল মা‘রূফ (সৎ কাজের আদেশ) ও নাহী ‘আনিল মুনকার (অসত কাজের নিষধ) এর দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেনঃ“মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন।” (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত: ৫১৪২)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : ” জেনে রাখো অচিরেই অনেক জালিম শাসক আসবে। যারা সেই সকল শাসকদের সাথে আঁতাত করবে, তাদের অন্যায়গুলোকে সমর্থন দিবে এবং তাদের জুলুমে সহযোগিতা করবে সে আমার উম্মত নয় এবং আমিও তাঁদের দায়িত্ব নিবো না এবং (কিয়ামতের দিন) তাকে আমার হাউজে কাউসারের সামনে আসতে দেয়া হবে না। আর যাঁরা সেই সকল জালিম শাসকদের সাথে আঁতাত করবে না, তাদের জুলুমে সহায়তা করবে না তাঁরা আমার উম্মত এবং আমি তাঁদের দায়িত্ব নিবো এবং তাঁদেরকেই (কিয়ামতের দিন) হাউজে কাউসারের পানি পান করানো হবে। ” ( তিরমিযি : ৬১৪ / সহিহ )

তোমাদের যেসব বিপদ-আপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল।” (সূরা শূরা- ৪২/৩০)

রাসুল (সাঃ) বলেছেন “যখন তোমরা ব্যাবসা-বাণিজ্যে ডুবে যাবে, গরুর লেজের পিছনে পড়ে থাকবে, কৃষিকার্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে আর আল্লাহর পথে জিহাদ পরিত্যাগ করবে,আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের উপর দুর্দশা আপতিত করবেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তা তুলে নেয়া হবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রকৃত দ্বীন (অর্থাৎ ইসলামে)ফিরে আসবে।” 
(সুনান আবু দাঊদ, অধ্যায়- ২৩, হাদীস নং ৩৪৫৫, আহমদ, হাদীস নং ৪৮২৫)

নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। আবু মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও অতি কঠোর যন্ত্রণাদায়ক।” (বুখারিঃ৪৬৮৬)

যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে, আল্লাহ তাকে (দুঃখ-কষ্ট থেকে) মুক্তির পথ বের করে দেন এবং যে স্থান সম্পর্কে সে ধারণা করেনি, সেখান থেকে তিনি তাকে জীবিকা প্রদান করেন।
(সূরা তালাকঃ ২,৩)

সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী ভবিষ্যত বানী করেছিলেন – একসময় এমন সময় আসবে, যখন পৃথিবীতে নামমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র থাকবে! কিন্তু তার শাসন চলবে ব্যক্তির খেয়াল- খুশী মত! আল্লাহর কালাম নয়–রাষ্ট্র চলবে শাসকের ইচ্ছামাফিক! আর এই শাসকরা থাকবে আমোদ- ফুর্তিতে বিভোর-মগ্ন! শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বন্ধু বানাবে শক্তিধর জাতশত্রুকে! গদি ঠিক রাখতে নিজেদের ঈমানকেও তারা নিলামে তুলে দেবে! তখন চামচিকা লাথি মারবে হাতির গায়ে! ইঁদুরের ভয়ে সিংহ গর্তে লুকাবে! প্রজাদের কাছে মুসলিম সরকার ও শাসকরা মূল্যহীন হয়ে পড়বে! রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়করা ঘৃণ্য বলে বিবেচিত হবে”

News Link

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান