গ্যালারি

সাবাস বাঙ্গালী ! এই না হলে সোনার বাংলাদেশ !


এমন এক দেশে বাস করি যেখানে আওয়ামীলীগের পাতি নেতার (কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের হিমু ) মটরসাইকেলের কাগজ না থাকায়, মটরসাইকেল পুলিশ জব্দ করায়, থানায় হামলা চালায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। আর যখন সেই হামলা ঠেকাতে ও সন্ত্রসীদের ছত্র ভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি বর্ষন করে, আর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা (সভাপতি সহ অন্য পাতি নেতারা)আহত হয় তখন বরখাস্ত করা হয় ৪ এস,আই সহ মোট ১১ জনকে। কি ক্ষমতা আওয়ামীলীগের, প্রশাষনের থেকেও বেশি। 

বর্তমানে বাংলাদেশে যে যত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারবে, চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী করতে পারবে, যার ধর্ষনের সংখ্যা যত বেশি হবে, যে জোর করে অন্যের জায়গা দখল করতে পারবে, যে যত বেশি খুন করতে পারবে, যারা চুরি-ছিনতাই করতে পারবে তারা আওয়ামীলীগের তত বড় নেতা হতে পারবে। আর তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দিলে, তাদের বিপক্ষে কথা বললে তারা হয়ে যায় দেশদ্রোহী!স্বাধীনতা বিরোধী!সরকার বিরোধী, দেশের আঈন লঙ্ঘনকারী!!! যারা এই আওয়ামী বাহিনীর বিপক্ষে যায় তাদেরই উল্টা সন্ত্রাসী বলা হয়। বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে অস্ত্র,মাদক সহ চালান দেওয়া হয়। আমার মতে বর্তমানে জেলখানার ভেতরে নিরপরাধ লোকের সংখ্যা অপরাধীদের থেকে অনেক বেশি। তাদের দোষ একটাই তার এই সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর সন্ত্রাসীবাহিনীর মানুষ নামক জানোয়ারদের বিরোধিতা করেছে। আর প্রশাষনের কোন লোক এই সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে বাধা তাদের বিপক্ষে গেলে হয় তাদের বদলী করে দেওয়া হয়, অন্য সেক্টরে দেওয়া হয় বা বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। আর যারা আওয়ামীলীগের পা চাটে পোষা কুত্তার থেকেও ভক্তি সহকারে, সমর্থন দেয় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের, সব জেনেও চুপ থাকে, ঘুষের টাকার মোটা মোটা বান্ডিল বাজারের বেহায়া বেশ্যাদের থেকেও নির্ল্লজ্জ ভাবে গ্রহন করে, তাদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়, নিজের পছন্দের জায়গায় পোষ্টিং দেওয়া হয়, প্রমোশন দেওয়া হয়। আর অন্যান্য আরো সুযোগ-সুবিধা তো আছেই। 

আপনি এখন ওদের মত ঐ সকল সন্ত্রাসীদের মত কর্মকান্ড করেন, তাদের চাটুকারিতা করেন, বাহবা দেন দেখবেন আপনাকে কেউ কিছু বলছেনা। আর তাদের বিরোধীতা করেন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দেন, আপনাকে হয় ঐ সন্ত্রাসী বাহিনী বা প্রশাষনে কর্মরত আওয়ামীলীগের পা চাটা সদস্যদের দিয়ে গুম হত্যা করা হবে অথবা ধরে নিয়ে যেয়ে জেলে ভরে দিবে। 

কি অপরাধ ছিল ৫ই মে, ২০১৩ তে যারা শাপলা চত্তরে সমবেত হয়েছিল আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (সঃ) এর কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে!? সেদিন তো রাতের অন্ধকারে নির্দয় ভাবে পাখির মত গুলি করে মারা হয়েছে নিরীহ মানুষদের। তাদের অপরাধ ছিল তারা অনেক নামধারী ভন্ড আলেম-ওলামাদের মত এই সরকারের চামচামি করেনি। তারা বিচার চেয়েছিল রাসূল(সঃ) এর অপমানের। কৈ সেই ঘটনায় তো কোন র্যা ব,পুলিশ বা বিজিবির কাউকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়নি! পুলিশের গুলিতে আহত এই আওয়ামীলীগের পাতি নেতার মূল্য কী ৫ই মে শাপলা চত্তরের হাজার হাজার মানুষের জীবনের মূল্য থেকে অনেক বেশি !!! ???

সাবাশ বাঙ্গালী! এই না হলে স্বাধীনতা! এরকম না হলে তো আর সোনার বাংলা গড়া যাবে না, তাইনা !
অপেক্ষা করুন আল্লাহর গজবের যারা সব জেনে শুনেও চুপ থাকেন প্রতিবাদ করেননা। দুনিয়ার সামান্য সুখ-শান্তি, টাকা-পয়সা, সাময়িক সুবিধা লাভের জন্য নিজের ঈমান কে বিক্রি করে দিয়েছেন। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলেই হবে না, নিজেদের যা কর্তব্য আল্লাহ কোরানে এরকম অত্যচারী শাষকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেছেন সেটাও করতে হবে, তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। 

দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষ কি করলো কি করছে সেটা চিন্তা না করে আল্লাহ পবিত্র কোরানে কি করতে বলেছেন সেটার দিকে মনোনিবেশ করুন। 
“আর তুমি যদি দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষকে অনুসরণকর তবে তারা তোমাকে আল্লাহের পথ থেকে বিচ্যুত করবে।তারা তো শুধু অসার বিষয়ের অনুসরণ করে,আর তারা তো শুধু আন্দাজের উপরেই চলে ।”
(আনামঃ ১১৬)

আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে,যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী!আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।( নিসাঃ৭৫)

তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়।আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে!আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না।(হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। (নিসাঃ৭৭)

নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। আবু মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও অতি কঠোর যন্ত্রণাদায়ক।” (বুখারিঃ৪৬৮৬)

এই কাফের সরকারের পা চাটা মানুষ রূপী জানোয়াররা ভালো ভাবে শুনে রাখ আমি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করিনা। মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত তোদের বিরোধীতা করব। আর আল্লাহর দেওয়া হুকুম পালনের সাধ্যমত চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ!

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন। “তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ দেখে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে, আর যদি সে এতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা মুখ দিয়ে প্রতিহত করে, যদি তাতেও সক্ষম না হয়,তাহলে যে এটাকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে, আর এটি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর।” 
[সহীহ মুসলিম-১৮৬,সহীহ ইবনে হিব্বান-৩০৭, সুনানে আবু দাউদ-১১৪২, সুনানে ইবনে মাজাহ-৪০১৩, মুসনাদে আহমাদ-১১৪৬০, মুসনাদে তায়ালিসী-২১৯৬]

আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী। আমর বিল মা‘রূফ (সৎ কাজের আদেশ) ও নাহী ‘আনিল মুনকার (অসত কাজের নিষধ) এর দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেনঃ“মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন।” (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত: ৫১৪২)

রাসুল (সাঃ) বলেছেন “যখন তোমরা ব্যাবসা-বাণিজ্যে ডুবে যাবে, গরুর লেজের পিছনে পড়ে থাকবে, কৃষিকার্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে আর আল্লাহর পথে জিহাদ পরিত্যাগ করবে,আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের উপর দুর্দশা আপতিত করবেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত তা তুলে নেয়া হবে না যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রকৃত দ্বীন (অর্থাৎ ইসলামে)ফিরে আসবে।” 
(সুনান আবু দাঊদ, অধ্যায়- ২৩, হাদীস নং ৩৪৫৫, আহমদ, হাদীস নং ৪৮২৫)

সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী ভবিষ্যত বানী করেছিলেন – একসময় এমন সময় আসবে, যখন পৃথিবীতে নামমাত্র ইসলামী রাষ্ট্র থাকবে! কিন্তু তার শাসন চলবে ব্যক্তির খেয়াল- খুশী মত! আল্লাহর কালাম নয়–রাষ্ট্র চলবে শাসকের ইচ্ছামাফিক! আর এই শাসকরা থাকবে আমোদ- ফুর্তিতে বিভোর-মগ্ন! শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বন্ধু বানাবে শক্তিধর জাতশত্রুকে! গদি ঠিক রাখতে নিজেদের ঈমানকেও তারা নিলামে তুলে দেবে! তখন চামচিকা লাথি মারবে হাতির গায়ে! ইঁদুরের ভয়ে সিংহ গর্তে লুকাবে! প্রজাদের কাছে মুসলিম সরকার ও শাসকরা মূল্যহীন হয়ে পড়বে! রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়করা ঘৃণ্য বলে বিবেচিত হবে”

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান