গ্যালারি

জামাত ইসলামের আমীরের কাছে কিছু প্রশ্ন


জামাত ইসলামের আমীরের কাছে কিছু প্রশ্ন

(কোরআন হাদীসের আলোকে পরিচালিত বাংলাদেশে সর্ব বৃহৎ ইসলামি দল জামাত ইসলামের আমীরের কাছে কিছু প্রশ্ন অনুগ্রহ করে কোরান ও হাদীসের আলোকে উত্তর দিবেন – কেউ আবেগ প্রবন হয়ে ব্যক্তিগত মতামত জানান থেকে  বিরত থাকবেন)

 

আমার এই প্রশ্ন বাংলাদেশের সকল হকপন্থী মুসলমদের পক্ষ থেকে জামাত-ইসলামের আমীরের কাছে । অনুগ্রহ করে জামাতের আমীরের কাছে পৌছে দিবেন।

 

প্রসংগঃ কাদের মোল্লা ও কামরুজ্জামানের ফাঁসি এবং জামাতের আন্দোলনের পন্থা।

 

১  কাফের সরকার আপনাদের দলের নেতাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসি দেয়ার জন্য, অন্যায় ভাবে আপনাদের দলের নেতা কর্মীদের গুম করে হত্যার জন্য, ইসলাম ও রাসূল (সঃ) কে কটুক্তিকারীর বিচারের জন্য যে পন্থায় আন্দলোন করছেন সেটা কোরান হাদীসে বর্নিত কোন পন্থা অনুযায়ী ?

২  রাসূল (সঃ) ও তার সাহাবীদের সময়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা কাফেরদের কাছে বন্দী হয়েছিল, কাফেররা যাদের অন্যায় ভাবে হত্যা করেছিল তার বিচারের জন্য রাসূল(সঃ) ও সাহাবীরা কোন পন্থা অবলম্বন করেছেন? বন্দীদের মুক্তির জন্য তারা কি পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন?

৩  রাসূল(সঃ) সম্পর্কে কটুক্তিকারীদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য, ইসলাম বিরোধীদের বিপক্ষে সাহাবীরা কোন পন্থা অবলম্বন করেছেন?

৪  যারা সময় বা যুগের অজুহাত দেন তাদের কাছে প্রশ্ন সময়ের সাথে কোরান ও হাদীস, আল্লাহর হুকুম ও রাসূল(সঃ) এর সুন্নাত বদলায় কি?

৫  ইসলাম ও রাসূল(সঃ) সম্পর্কে যারা কটুক্তি করে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য, বন্দী সাহাবীদের মুক্ত করার জন্য সত্যি কারের আল্লাহভীরু মুসলিমরা কি কখনো কারো কাছে বিচার ভিক্ষা করেছে নাকি নিজেরা কোরান হাদীস অনুযায়ী বিচার করে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে? 

৬  রাসূল(সঃ) ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তিকারীর শাস্তির জন্য বিচার ভিক্ষা করা কোন সাহাবীদের আমলে হয়েছে? ইসলামের ইতিহাসে কোন সাহাবীদের মুক্ত করার জন্য হরতালের মত কুফরী কাজ করে, সাধারন মানুষকে কষ্টে ফেলে তাদের উপর করা অন্যায়ের বিচার চাওয়া হয়েছে? কোরান হাদীসের কোথায় বর্ণিত আছে?

৭  কাউকে বন্দী করলে হরতাল, গুম করে হত্যা করলে হরতাল, ফাঁসি দিলে হরতাল এ কেমন হিকমাহ!? রাসূল(সঃ) কি সাহাবীদের নিরস্ত্র ভাবে শত্রুর মোকাবেলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, না মিছিল, মিটিং ও মানবন্ধন করেছিলেন?

আপনাদের বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন করুনঃ

  • কোন দেশের কোন সরকারের কাছে বিচার চাচ্ছেন, যে দেশের সরকার প্রধান রাসূল (সঃ) কে অকথ্য ভাষায় কটুক্তিকারী ব্লগার রাজীব হায়দার কে শহীদ বলে আখ্যায়িত করে !!!
  • কাদের কাছেবিচার চাচ্ছেন যাদের কোরান হাদীস সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান টুকু নাই!
  • কোন সরকারের কাছে বিচার চাচ্ছেন, যে দেশের সরকার ও তার টাকায় কেনা গোলামরা রাতের আঁধারে হাজার হাজার ধর্মপ্রান মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে !!! (৫ই মে,১৩)
  • কোন দেশের সরকার প্রধানের কাছে বিচার চাচ্ছেন যে নিজের ছেলেকে ইহূদীর সাথে বিয়ে দিয়ে গর্ববোধ করে, যা নিজের ছেলের খৎনা পর্যন্ত করায়নি !!!
  • কাদের কাছে বিচার চাচ্ছেন যারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের ঈমান কে বিক্রি করে দিয়েছে, যারা আল্লাহর ভয় থেকে গাফেল ও দুনিয়ার লোভে মত্ত্ব হয়ে গিয়েছে!!!

আল্লাহর কসম!আপনার ততদিন পর্যন্ত লাঞ্ছিত, অপমানিত, অপদস্থ হতে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত মার খেতে থাকবেন যতদিন পর্যন্ত আপনারা রাসূল(সঃ) ও সাহাবীদের দেখানো পথে আন্দলোন না করবেন, কাফের – মূর্তাদ সরকারী দল ও তাদের পা চাটা গোলামদের বিচার কোরান হাদীসে বর্ণিত পন্থা অনুযায়ী না করবেন।

হরতালগনতন্ত্র যে একটি কুফরী পন্থা সেটার পূর্ণ বিবরন কোরান হাদীসের দলিল সহ এই লিঙ্কে আছে । 

সর্বশেষ অনুরোধ যদি আল্লাহর রাসূল(সঃ) এর অপমানের বিচার, কাদের মোল্লা ও কামরজ্জামান সহ আপনাদের দলের অন্যান্য নেতা কর্মীদের উপর কৃত অন্যায়ের বিচার কোরান হাদীসে  বর্ণিত পন্থা অনুযায়ী করতে না পারেন, আপনাদের মনে যদি আল্লাহর ভয়ের থেকে কাফেরদের ভয় বেশী থাকে, যদি নিজেদের বানানো পন্থাকে কোরান হাদীস থেকে বেশী পছন্দ করেন, যদি হরতালের মত কুফরী পন্থার আন্দোলনকে আপনার জিহাদ মনে করেন, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে নিজেদের পন্থা অনুযায়ী আন্দলোন না করে সব কিছু মুখ বুঁজে সহ্য করে ঘরে বসে থাকুন। অনুগ্রহ করে আমাদের পূর্বপুরুষ দের যারা রাসূল(সঃ) এর অপমানের বদলা নিতে তার সুন্নাত কে অনুসরন করেছেন তাদের কে  আর লাঞ্ছিত করবেননা, ইসলামকে আর ছোট করবেন না। আর যদি রসূল(সঃ) ও সাহাবীদের মর্যাদা যদি আপনাদের কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তবে রাসূল(সঃ) ও সাহাবীদের দেখানো পন্থা অনুযায়ী আন্দলোন করুন। আল্লাহর রহমত,বরকত ও সাহায্য পাবেন। বিজয় আপনাদেরই হবে যদি সবকিছু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ও রাসূল(সঃ) ও সাহাবীদের দেখানো পন্থা অনুযায়ী হয়।

আর যদি এই প্রশ্নের উত্তর কোরান হাদীসের আলোকে দিতে না পারেন তবে নিজেদেরকে ইসলামি দল বলে দাবী করা ছেড়ে দেন। কারন কাফেরদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য কুফরী পন্থা অবলম্বনকারী কোন দল ইসলামি দল হতে পারেনা।

 “আর তুমি যদি দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষকে অনুসরণকর তবে তারা তোমাকে আল্লাহের পথ থেকে বিচ্যুত করবে।তারা তো শুধু অসার বিষয়েরঅনুসরণ করেআর তারা তো শুধুআন্দাজের উপরেই চলে।“(সূরা আনাম – আয়াতঃ ১১৬)

 

আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। (সূরা তাওবাঃ১২)

 

তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে।তোমরা কি তাদের ভয় কর?অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা তওবা:১৩)

 

যুদ্ধ কর ওদের সাথে,আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন,তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন,এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (সূরা তওবা:১৪)

 

হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর,তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।(সূরা তাওবাঃ৩৮)

 

হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। (সূরা আনফালঃ৬৫)

 

তোমাদের কোন ভয়নেই, তোমাদের কোন চিন্তানেই, তোমরাই হবে বিজয়ী, তোমরাই থাকবে উচ্চাসনে, যদি তোমরা মুমিন হও। ( সূরা আল ইমরান- ১৩৯)

 

সেই মূহুর্ত থেকে আপনাদের বিজয় অবধারিত হয়ে যাবে, আপনারা সকল প্রতিশোধ নিতে পারবেন, আপনাদের অন্তর আল্লাহ প্রতিশোধ নেওয়ার মাধ্যমে শিতল করে দিবেন যেই মূহুর্ত থেকে আপনারা আল্লাহ ও তার রাসূল(সঃ) এর দেখানো পন্থা অনুযায়ী আন্দোলন শুরু করবেন। আপনারা ভূলে যাবেন না আপনারা সংখ্যায় সবথেকে বেশী, আল্লাহর রসূল(সঃ) ও তার সাহাবীদের পন্থা অবলম্বন করুন বিজয় অবধারিত।

 

আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক দ্বীনের পথে পরিচালিত করুন, হ্বক ও ন্যায়ের পথে অবিচল রাখুন, আমাদের ধৈর্য ধারনের তৌফিক দান করুন, আল্লাহ আমাদের কে কাফের, মুনাফিক, মূর্তাদদের উপরে বিজয় দান করুন। আমীন।

 

 

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান