গ্যালারি

আইমান-আল-জাওয়াহিরির বার্তা ও আমার স্পষ্ট অবস্থান সম্পর্কে


আমার অবস্থান আগেও স্পষ্ট ছিল, এখন ও আছে… আমি গনতন্ত্র সমর্থন করি না। গনতন্ত্র ইসলামে হারাম এই বিষয়ে আমি পূর্বে অনেক পোষ্টেই লিখেছি। আর আইমান-আল-জাওয়াহিরির অডিও বার্তা গনমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর, অনেক মুনাফিকদের চেনা গেছে, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাদের পথ কে সহজ করে দিচ্ছেন ও মুনফেক কাফেরদের চিনতে সাহায্য করছেন। যদিও আল-কায়েদা বা কোন খিলাফত পন্থী সংগঠনের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই, তবে যদি থাকত অনেক গর্ব বোধ করতাম।
যারা আমার আবতীর্ণকরা বিধান দ্বারা সমাজে বিধান দেয়না বা শাসনকাজ পরিচালনা করেনা, তারাই কাফির (সূরা মায়েদাহঃ ৪৪-৪৬)
যারা কাফের মুনাফেক, যারা আল্লাহর আঈনের বিরোধী আঈন রচনা করে ও সমর্থন করে। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরানে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন… “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিপক্ষে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।“ (সূরা মায়েদাহ-৩৩)
রসূল(সঃ)বলেন, আমরা এরুপ ব্যক্তিকে কোন পদে মনোনিত করি না,যে তার পদ চেয়ে নেয় বা পদের প্রতি লালায়িত হয়।(বুখারী)।
রাসূল (সাঃ) বলেন “যে ব্যক্তি কোন জাতির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে তাদের অনুকরণ এবং তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করবে, সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।“ (আবু দাউদ হাদীস নং ৪০৩১)
এবার আপনারাই বুঝেনেন, যে বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার কাদের ওপর ন্যাস্ত, কারা তাদের পন্থা অবলম্বন করে। কারা তাদের সহায়তা করা। যাদের কথায় বিভিন্ন এলাকার আঈন প্রনয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ হয়, কিন্তু তারা আল্লাহর আঈনের তোয়াক্কা করে না, বিরোধীতা করে তারা সকলেই উপরোক্ত দলের অন্তরভূক্ত।
মানুষের সবথেকে বড় ক্ষমতা হচ্ছে ধৈর্যশক্তি, ধৈর্যের অর্থ দূর্বলতা বা কাপুরুষতা নয়, বরং সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা। আর বাংলাদেশের খিলাফত পন্থীরা এখনো এত ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে বলেই কাফের মুনাফেকরা স্বস্তিতে আছে, কিন্তু তাদের এই স্বস্তি আর খুব বেশী দিন স্থায়ী হবেনা।
আনেক নামধারী মুসলীম আবার সাবধানতা অবলম্বনের নামে যে পথে হাটছে সেই পথকে আল্লাহ ভীরুদের পথ বলা যায়না। আইমান-আল-জাওয়াহিরির অডিও বার্তায় সারাদেশে তোলপাড় হওয়ায় অনেক দাড়ি কেটে ফেলছে, টাখুনর নিচে কাপড় পরা শুরু করেছে। ইসলামের,তাওহীদের দাওয়াত দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বড়ই আফসোস এই সব লোকদের জন্য যারা মুখে বলে তারা আল্লাহ কে ভয় পায় কিন্তু আসলে তারা কাফের সরকার ও তার পা চাটা বাহিনীর লোকদের কেই বেশি ভয় পায় আল্লাহ থেকে। আর তারা যে কাফের ও তাদের সহযোগীদের ভয়ে ভীত সেটা মানুষের কাছে গোপন করার জন্য তাদের ভয় কে নাম দিয়েছে সাবধানতা। ধিক্কার জানাই এই সব লোকদের প্রতি।
তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়।আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে!আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না।(হে রাসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। (সুরা নিসা-৭৭)

যাদের এখনো সন্দেহ আছে যে ইসলামে গনতন্ত্র হারাম তারা এই লিঙ্ক থেকে যেনে নিন। কোরান হাদীসের প্রমান সহ দেওয়া আছে।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান