গ্যালারি

সুশীল ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও বেহায়া নির্লজ্জ বাঙ্গালী মুসলিম জাতি


মূর্তাদ কাফের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী হজ্জ্ব ও রাসূল (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই, আওয়ামীলীগের মত কুফরীর উপরে প্রতিষ্ঠিত দলের মূর্তাদ কাফেরদের মত মূর্খ নেতাদের পক্ষেই সম্ভব ইসলাম ও রাসূল (সঃ) সম্পর্কে কটুক্তি করা।

আমি অবাক হই বাংলাদেশের আলেম সমাজকে দেখে , ইসলাম ও রাসূল (সঃ) সম্পর্কে এতো কটুক্তি এত বিদ্রুপ করা সত্তেও তারা তাদের প্রতিবাদ শুধু মিছিল মিটিং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দুই দিনেই তাদের রক্ত ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আর তারা আল্লাহর থেকে বেশী ভয় করে কাফের মুনাফেক ও তাদের দলের সমর্থক ও তাদের নিরাপত্তা দানকারীদের । এটা প্রতিবাদের কোন তরিকা না, এটা সাহাবীদের তরীকা না, ইসলামের ইতিহাস ঘেটে দেখুন, যারা রাসূল(সঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে কটুক্তি করেছে তাদের কিভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সত্যিকারের মুসলিমরা কখনো ন্যায় বিচার ভিক্ষা করেননা, তারা তাদের অধিকার আদায় করে নেন, তায় ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে্ন।

আর সবথেকে বেশী আফসোস হয় ঐ নাফরমান গুলোর উপর যারা মুসলিম হয়েও এরকম মূর্তাদ, কাফের বেয়াদব ইসলাম বিদ্বেষীদের নিরাপত্তার কাজ করে, তাদের নিরাপত্তা দেয়, তাদের পায়ের তালু চাটে শুধুমাত্র দুনিয়াতে সাময়িক সুখ লাভের জন্য, টাকার জন্য। নিরাপত্তা বাহীনির সদস্যদের বলতে চাই, সময় থাকতে তওবা করে আল্লাহর রাহে ফিরে আসুন। ইসলাম বিদ্বেষীদের নিরাপত্তা দেওয়া বন্ধ করুন। শুধু একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে দেখুন আপনি যদি এই মূহূর্তে মারা যান , আপনি আল্লাহর সামনে কি নিয়ে হাজির হবেন! কি জবাব দিবেন !

আজ কাল সব জায়গাতেই দেখা যায় যদি কেউ আপনার পরিবারের (বাবা-মা,ভাই-বোন,আত্মীয় বা আপনাকে) বা ঘনিষ্ট জনদের মধ্যে কাউকে কটুক্তি করে,গালিদেয়,বা মারে তবে আপনি তার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন, এবং তাকে সায়েস্তা করারা জন্য আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। বন্ধু-বান্ধব বড় ভাই, রাজনৈতিক নেতা কাউকে বলতে বাদ রাখেননা। আর মুসলমানরা সবাই জান্নাতে যেতেচায়। কিন্তু যেই নেতা সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী(সঃ) এর সুপারিষ ছাড়া কেউ জান্নাতে যেতে পারবেনা তাকে জদি কেউ কটুক্তি করে,গাল দেয় তবে আপনার মধ্যে প্রতিষোধ নেয়ার স্পৃহা তো দূরের কথা, মুখে একটা প্রতিবাদের কথা ও শোনা যায়না, দেখা জায়না কোন বন্ধু বা বড় ভাইকে বলতে বা উতসাহিত করতে মহানবী(সঃ) এর অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য, বরং উল্টে আপনারা সেই সব কটুক্তিকারী কাফের-মুনাফেক-নাস্তিকদের সাথেই তাল মেলান, সমর্থন করেন, তাদের গোলামী করেন, তাদের ভয়ে, দুনিয়ার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য আবার আপনারা দাবী করেন নিজেদের মুসলমান বলে,স্বপ্ন দেখেন জান্নাতে যাবার !!লজ্জা করেনা??!! নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন আপনি কোন পথে আছেন?? এখন ও সময় আছে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করুন ও সঠিক পথে ফিরে আসুন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান