গ্যালারি

হ্বকের পথে চলা ও তাদের সমর্থনে কথা বলা প্রত্যেক মুসলমান জঙ্গী


আল্লাহ অবশ্যই ইসলামের বিজয় দান করবেন, কাফের ও তাদের সমর্থকরা তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও ইসলামের বিজয় ঠেকাতে পারবেনা। এমন একদেশে বাস করছি যেখানে ইসলামের অবমাননা কারী কাফের-মুনাফফেক দের বিরুদ্ধে কথা বলা, রাসূল(সঃ) এর অবমাননার বিচার চাওয়া, ইসলামের শাষন চাওয়া নিরীহ নিরস্ত্র মুসলীমদের ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা করা, গুলি বর্ষন করা ও লাশগুম করা (৫ই মে,২০১৩) হচ্ছে দেশপ্রেম,সততা ও আঈন!!! আর এই কুফরী সরকার,তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা দানকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললে,লেখা-লেখি করলে ও প্রচার প্রচারনা করলে তা্রা হয়ে যায় জঙ্গী,সন্ত্রাসী,দেশদ্রোহী !!অন্য স্তরের কথা বাদ-ই দিলাম!!!
দেশের আঈনের বিরুদ্ধে,আল্লাহর আঈনের পক্ষে, অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে,কোন কাফের-মুনাফেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বললে বা লেখালেখি করলে সে হয়ে যায় দেশদ্রোহী,জঙ্গী। তাদের গ্রেফতার করা ও বিচারের আওতায় আনার জন্য আঈন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী?! বাহিনীর সদস্যরা খাওয়া ঘুম হারাম করে দেয়, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে তাদের গ্রেফতার করতে ও কুফরী আঈনের আওতায় আনতে।
এই সকল আঈন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল মুসলীম বংশোদ্ভত সদস্যদের কাছে আমার প্রশ্ন
– দেশের কুফরী আঈনের বিরোধিতা করলে, কাফের-মুনাফেক শাষক গোষ্ঠির বিরুদ্ধে কথা বললে, আল্লাহর আঈন চাইলে, রাসূল(সঃ) এর অবমাননা কারীদের বিচার চাইলে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি দেশদ্রোহী বা জঙ্গী হয়, তাদের শাস্তি যদি গুম হত্যা বা নির্যাতন হয়, তবে যারা আল্লাহর আঈনের বিরোধিতা করে, রাসূল(সঃ) এর আদর্শকে অবমাননা করে, আল্লাহর আঈনের বিরুদ্ধে আঈন রচনা করে, কাফের মুনাফেকদের সাহায্য ও নিরাপত্তা দান করে তাদের শাস্তি কি হওয়া উচিৎ ??
– আপনাদের মনে কি আল্লাহর বিন্দু মাত্র ভয় নেই!!!???
– আল্লাহ ও তার রাসূল(সঃ) এর সম্মান এর থেকে কুফরী শাষকদের সম্মান ও মর্যাদা আপনাদের কাছে বেশী???!!!
– মৃত্যুর পরের একটা জীবন আছে যেখানে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে জবাবদীহি করতে হবে সেটা কি ভূলে গেছেন?
– চোঁখ বন্ধ করে কখনো কি কবরের আযাবের কথা চিন্তা করেন?
– একবারের জন্য হলেও নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন আপনারা কোন পথে হাটছেন, আল্লাহ বাদে কাদের গোলামী করছেন, দুনিয়ার সাময়ীক সুখের জন্য নিজের ঈমান কে বিসর্জন দিয়ে আখিরাতের জন্য কি জমা করছেন???!!!

যারা আমার আবতীর্ণকরা বিধান দ্বারা সমাজে বিধান দেয়না বা শাসনকাজ পরিচালনা করেনা, তারাই কাফির (সূরা মায়েদাহঃ ৪৪)

রাসূল (সাঃ) বলেন “যে ব্যক্তি কোন জাতির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে তাদের অনুকরণ এবং তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করবে, সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।“ (আবু দাউদ হাদীস নং ৪০৩১)

নবী (সা) বলেন, সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয় যে ব্যক্তি আমাদেরকে ছেড়ে অন্য কারো সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদীদের সাদৃশ্য অবলম্বন করো না, আর খ্রীষ্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন করো না। (তিরমিযীঃ২৬৯ সহীহ)

“তোমাদের মধ্যে যদি কেউ আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (সূরা জ্বিন ২৩)

“রাসূল তোমাদের যা কিছু দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং সে যা কিছু নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো, আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করো; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা।” (হাশর ৭)

যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে এবং পয়গম্বরগণকে হত্যা করে অন্যায়ভাবে,আর সেসব লোককে হত্যা করে যারা ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয় তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তির সংবাদ দিন। (সূরা-আল ইমরানঃ২১)

‘‘যখন তাদের দেহের চামড়া আগুনে পুড়ে পুড়ে গলে যাবে, তখন (সাথে সাথে) সেখানে অন্য চামড়া সৃষ্টি করে দেবো; যেনো তারা আজাবের স্বাদ পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারে। বস্তুত আল্লাহ বড়োই শক্তিশালী এবং নিজের ফায়সালা সমূহ কার্যকরী করার কৌশল খুব ভালো করেই জানেন।’’ (সূরা নিসা: ৫৬)

“আর গলিত পুঁজ পান করানো হবে যা সে অতিকষ্টে গলধ:করণ করবে এবং তা গলধ:করণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। চতুর্দিক থেকে মৃত্যু যন্ত্রণা তাকে গ্রাস করে নেবে কিন্তু তবুও তার মৃত্যু হবে না।’’ (সূরা ইব্রাহীম: ১৬-১৭)

আমি অবশ্যই কাফেরদেরকে কঠিন আযাব আস্বাদন করাব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তাদের মন্দ ও হীন কাজের প্রতিফল দেব। এটা আল্লাহর শত্রুদের শাস্তি-জাহান্নাম। তাতে তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আবাস, আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করার প্রতিফলস্বরূপ।-(সূরা হা-মীম সিজদাহঃ ২৭-২৮)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক কোরান ও হাদীস বোঝার তৌফিকদান করুন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান