গ্যালারি

খুব মজার একটা গল্প ( বাস্তবে কারোর সাথে গল্পের চরিত্র কাকতালীয় ভাবে মিলে গেলে তার জন্য আমি দায়ীনই)


কোন এক সময়ের কথা বান্ডিয়াদেশ নামে একটা রাষ্ট্রছিল। যেই দেশের অধিকাংশ মানূষ মুসলমান হওয়া সত্বেও সে দেশ পরিচালিত হত কুফরী শাষন ব্যবস্থ্যায়। আর দেশ পরিচালনা করত কিছু মুসলীম নামধারী কাফের। তার ওপর সেইদেশের সরকার প্রধান ছিল এক কুচক্রী, ক্ষমতা লোভী, হিংশুটে, স্বার্থপর, মহিলা। সে তার দলের লোকদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের মানূষের সম্পদ বিভিন্ন অজুহাতে লুটে-পুটে খাচ্ছিল। সে ছিল সেই চোর/ডাকাত দলের সর্দারনী। আর এই দলের লোকরা চলত তাদের পার্শবর্তী এক কাফের দেশের পরামর্শ অনুযায়ী। কারন রাষ্ট্র পরিচালনা করার মত মগজ সৃষ্টিকর্তা তাদের দেন্নি। যা দিয়েছেন সেটা হল কিভাবে দেশ ও মানূষের সম্পদ চুরি ও লুন্ঠন করা যাবে সেই বুদ্ধি। আর সেই দেশের নেত্রীর/ডাইনির এক উজির ছিল, যার মাথায় সুবুদ্ধি তো অনেক পরের বিষয় একটা চুল পর্যন্ত ছিল না। যা ছিল সেটা হল একটা বিশাল দেহ তার সাথে মানানসই একটা বিশাল ভূড়ি। চোখে আবার চশমাও পরত কিন্তু দেখত চশমার উপরদিয়ে। আর একটা ইংরেজী শব্দ খুব ভাল বলতে পারত সেটা হল “রাবিশ”। যাই হোক সেই উজির দেখাশোনা করত দেশের অর্থনৈতিক বিষয়াদি। এই উজির খোঁজ নিত যে দেশের কোথায় কোথায় কোন কোন ক্ষেত্রে চুরি ডাকাতি করার ভাল সুযোগ আছে এবং কিভাবে দেশের মানুষকে বোকা বানানো যায়।

তো এরকম একদিন এই বিশাল চোরের/ডাকাতের দলের সকল নেতারা, দেশের দূর্নীতি বাজ কমিশন!!! নামের সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা মূলত দেশের দূর্নীতিবাজদের সৎচরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়, ফুলিশ,যার্ব নামক বাহীনির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা্, যারা দেশের মানুষের বিচার করে ঐ কাফের দলের মতনুযায়ী এবং তাদের কিছু পা চাটা পশুর থেকেও ওধম মানূষদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছিল যে কিভাবে আগামীতে আরো নিখুঁত ভাবে, দেশের সম্পদ লুট পাট করা যায়।

এমন সময় সেই কাফের নেত্রীর ফোন বেজে উঠল, সে ফোন রিসিভ করতেই… ওপর পাশ থেকে একজন বলে উঠল “ ম্যাদাম, সর্বনাশ হয়ে গেছে, দেশের সবথকে বড় ব্যাংক (বান্ডিয়াদেশ ব্যংক) থেকে সব টাকা-সম্পদ লুট হয়ে গেছে” একথা শোনা মাত্রই কাফের বাহীনির নেত্রী বলে উঠল “এটা কোন ভাবেই সম্ভব না, কোন ভাবেই না, তোমার মনে হয় কোথাও ভূল হচ্ছে, কারন দেশের সবথেকে বড় বড় চোররা এখন আমার সাথে,আমার একসাথে মিটিং করছি ভবিষ্যতে কিভাবে দেশের মানূষের চোখে ধূলা দিব, চুরি করব ”

যারা আমার আবতীর্ণকরা বিধান দ্বারা সমাজে বিধান দেয়না বা শাসনকাজ পরিচালনা করেনা, তারাই কাফির (সূরা মায়েদাহঃ ৪৪)
রাসূল (সাঃ) বলেন “যে ব্যক্তি কোন জাতির সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে তাদের অনুকরণ এবং তাদের মত হওয়ার চেষ্টা করবে, সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।“ (আবু দাউদ হাদীস নং ৪০৩১)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিপক্ষে সংগ্রাম করে (আল্লাহর আঈনের বিরোধীতা করে) এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সূরা মায়েদাহ-৩৩)

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান